এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারমানে আপনি গালে ব্রণ উঠার কারণ এবং প্রতিকার জানতে আগ্রহী ।গালে ব্রণ ওঠা হতাশার কারণ হতে পারে। গালে ব্রণ ওঠা কিশোর-কিশোরীদের জন্য খুব বিরক্তিকর একটি সমস্যা,অনেক সময় ব্রণ দূর করতে অনেক ভালো স্কিন কেয়ার ব্যবহার করতে হয় অনেকের কাছেই স্কিন কেয়ার ব্যবহার করাটা ঝামেলার মনে হয় বিশেষ করে তখন যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সভা অথবা কাজে যেতে হয়।
এই লেখায় আমি ব্রণ উঠার কারণ এবং সমাধান ব্যাখ্যা করব
ব্রণ কি

ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি বিশেষ অবস্থা। বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপ্যুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষতচিহ্ন বা কাটা দাগ ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। ব্রণের প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বলা যায় এটির কারণে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এর পাশাপাশি ভীতি বিষন্নতা দেখা দেয়। মূলত অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্রগুলোতে আটকা পড়ার কারণে ব্রণের সৃষ্টি হয়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্রণ আছে এমন রোগীদের আত্মহত্যার পরিমাণ 7.1 শতাংশ .কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের মুখে ব্রণ উঠছে থাকবে এবং তার উপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আপনি এটি প্রতিরোধ করতে পারেন কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে .
গালে ব্রণ উঠার কারণ

ত্বকের ছিদ্রগুলি তেল, মৃত ত্বক বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আটকানো হয়ে গেলে ব্রণ হয়। গালে ব্রণ ওঠার অনেক কারণ থাকতে পারে ব্রণ উঠার যুক্তিক কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হয়েছে
বংশগত কারণ : এটি মুখে ব্রণ উঠার অন্যতম প্রধান কারণ কিছু কিছু হরমোন সাধারণত জিনগতভাবে বিকশিত হয় কিছু বিশেষ ধরনের ব্রণ বংশ গত ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের হতে পারে ।
পরিবেশগত কারণ: অতিবেগুনী সূর্যের রশ্মি, ময়লা, দূষণ এবং উচ্চ স্যাঁতসেঁতে অতিমাত্রায় ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,যার কারণে ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে।
স্ট্রেস : স্ট্রেস হ’ল গালে ব্রণ উঠার অন্যতম কারণ।শারীরিক ও মানসিক উভয় চাপই বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করে এমন রাসায়নিক ও হরমোন নিঃসরণে ট্রিগার করে যা নিমগ্নতা সৃষ্টি করে।
তৈলাক্ত খাবার :চর্বিযুক্ত পদার্থ, তৈলাক্ত, মশলাদার, পেস্ট্রি, চকোলেট, বাদাম এবং চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে সিবামের অত্যধিক উৎপাদন ঘটে, যার ফলে ব্রণ হয়। আয়োডিন সল্ট, ব্রোমিন এবং এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও মুখে ব্রণ হতে পারে।
নির্দিষ্ট বয়স : যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছে যখন কিশোর-কিশোরীরা বয়সন্ধিকাল অতিক্রম করে তখন তাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন গুলি তেলের নিঃসরণকে প্রভাবিত করতে পারে, মুখ, কপাল,নাক এবং গালের মতো অঞ্চল গুলি সাধারণত ব্রণ দ্বারা আক্রান্ত হয় কারণ ওখানেই বেশিরভাগ তেল নিঃসৃত হয়।
ময়লা : গালে ব্রণ উঠার আরেকটি অন্যতম কারণ এটি। আপনার হাতের ময়লা খুব তাড়াতাড়ি মুখের দিকে চলে যেতে পারে, ফলে সংক্রামিত ত্বক এবং অযাচিত দোষ দেখা দেয়। আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলির মধ্যে তেল এবং ময়লা বিল্ড আপ খুব সহজেই ব্রণ বিকাশে অবদান রাখতে পারে।
দুর্বল ডায়েট : গবেষণায় এখন অবধি এমন কোন নির্দিষ্ট খাবার খুঁজে পাওয়া যায়নি যেটার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে স্বাস্থ্যকর সুষম খাওয়ার পরামর্শ বরাবরে দিয়ে আসছে বিশেষজ্ঞরা এটি আপনার হৃদয় এবং আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
ব্রণের প্রতিকার

ব্রণ ওঠার আগেই প্রতিকার করুন,ব্রন প্রতিরোধের কথা আসতেই সবার আগে যে কথাটি আসে সেটি হচ্ছে আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। কম চর্বি এবং তেল খাওয়ার ফলে ব্রণ এর প্রাদুর্ভাব রোধ হতে পারে যদিও দাগ এবং ব্রণের মধ্যে সুস্পষ্ট যোগসুত্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ব্রন প্রতিরোধের আরেকটি কৌশল হলো মানসিক চাপ এড়ানো কিভাবে খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন তা জানার আগে ব্রণ উপস্থিত হতে না দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
ব্রণের দ্রুত চিকিৎসার সহজ পদক্ষেপ

যদি এমনটা হয় আপনি কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে দেখলেন যে আপনার মুখের অবস্থা ভালো না ব্রণের দাগ গুলো স্পষ্ট নিশ্চয় আপনি ইতঃস্তত বোধ করবেন তবে আশার কথা হচ্ছে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার মুখের উপস্থিত ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনি এমনটা তখনি করতে পারবেন যখন আপনার সঠিক উপায়টি জানা থাকবে।
মধু : আক্রান্ত ত্বকে এক ফোঁটা মধু ব্যবহারে আপনি আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে পারেন এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদাহ হ্রাস করতে এবং নিরাময়কে সাহায্য করতে পারে। রাতে আক্রান্ত স্থানে দু’এক ফোঁটা প্রয়োগ করুন এবং পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।
বরফ: একটি বরফের টুকরোকে একটি সূক্ষ্ম কাপড়ে জড়িয়ে ব্রণের উপর রেখে দিন ত্বকে সরাসরি বরফ ব্যবহার করবেন না বা এটিকে 20 সেকেন্ডের বেশি ধরে রাখবেন না ।বরফের টুকরোটি মাঝেমধ্যে ত্বকের উপর থেকে সরিয়ে নিন দিনে দুইবার এটি করুন এটি করার ফলে ব্রণের ব্যথা কমাবে এবং ব্রণের সংকোচনের সহায়তা করবে
রসুন ব্যবহার : দিনে কয়েকবার ত্বকের উপরে কাঁচা রসুন ঘষুন ত্বকের উপরে কাঁচা রসুন ঘষার ফলে ব্রণের কালো দাগ দূর হয় ।
শসা ব্যবহার : গাল,কপাল এবং চোখের উপরে শসার টুকরো ব্যবহার করে কালো দাগ দূর করা সর্বদা সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি ।
সামুদ্রিক লবণ: কিভাবে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ইতিমধ্যে অনেক বিষয়ে লিখেছে সামুদ্রিক লবণ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হতে পারে আপনার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন তারপর ব্রণের উপরে সামুদ্রিক লবণ লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান সকালবেলা উঠে ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন কিভাবে ব্রণের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তা দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন ।
টুথপেস্ট ব্যবহার : টুথপেস্ট ব্রণ নিরাময়ে খুব কার্যকর ।শুতে যাওয়ার আগে ব্রণের উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন এটি ব্রণের কালো দাগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে।
Pingback: হলুদের উপকারিতা এবং অপকারিতা | অনুসরণ
useful information
Nijer Jibon(ব্রণ দূর করার উপায়)