শীতকালে চুল পড়া এবং খুশকি খুব সাধারণ সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে শীতকালে নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। চুলের বৃদ্ধি যেন ভালো হয় এবং চুল যেন নরম হয় তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
শীতের মৌসুমে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে ত্বকের পাশাপাশি চুলও শুষ্ক, প্রাণহীন, ক্ষতি হতে শুরু করে কারণ এগুলো থেকে আর্দ্রতা বের হয়ে যায়। এ কারণে শীতকালে চুল পড়া এবং খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই শীতে নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। চুলের বৃদ্ধি ভালো রাখতে এবং চুল নরম রাখতে কিছু যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। জেনে নিন এই শীতে চুলের যত্ন কীভাবে করবেন।
চুলের যত্নে ডিম
ডিমে প্রোটিন, আয়রন, সালফার ফ্যাটের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করে। ডিমের সাদা অংশে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে এই মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে একবার হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, চুল পড়া বন্ধ হবে এবং বৃদ্ধিও ভালো হবে।
মাথা ম্যাসেজ
ঠাণ্ডা বাতাস ও দূষণের কারণে ঠান্ডায় চুল পড়ে যায় খুব। শীতকালেও আপনার চুল মজবুত থাকার জন্য এর শিকড় থেকে মজবুত হওয়া প্রয়োজন। চুল নিয়মিত মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ম্যাসাজ করাই যথেষ্ট। অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করা যেতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তেলে সামান্য লেবু মিশিয়ে সপ্তাহে একবার ১৫ মিনিট চুলে ম্যাসাজ করুন।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা
আমলায় উপস্থিত পুষ্টিগুণ চুলের মজবুত ও বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। আমলার রসে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। আপনি যদি ঘন কালো চুলের শৌখিন হন তবে আমলা এবং রিঠা পাউডার লাগান। সপ্তাহে একবার আমলকির রস চুলে লাগালে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আমলা খাবারও ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ভালো।
দইয়ে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান
দই এবং লেবু দুটোই চুলের জন্য খুবই উপকারী এবং ঠান্ডায় এগুলো ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়। দইয়ের মধ্যে দুটি লেবু ছেঁকে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি হাতের আঙুলে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। পেস্টটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের দাগ এবং খুশকি দূর করে।